সিগনাল (Brachiaria decumbens)

বহুবর্ষী ঘাস, একবার লাগালে ৪-৫ বছর পর্যন্ত ঘাস উৎপন্ন হয় । বছরের যে কোন সময় চাষ করা যায়, তবে উত্তম সময় হচ্ছে ফাল্গুন-চৈত্র মাস । জলাবদ্ধ স্থান, পাহাড়ি ঢাল ও লবণাক্ত স্থান ছাড়া বাংলাদেশের সব জায়গায় এ ঘাস জন্মে । সাইলেজ বা হে (শুকিয়ে) করে সংরক্ষণ করা যায় ।
চাষ পদ্ধতিঃ প্রচলিত পদ্ধতিতে উত্তমরুপে জমি চাষ দিতে হয় ।বন্যা পরবর্তীতে কাদামাটিতে চাষ ছাড়াই রোপণ করা যায় ।হেক্টর প্রতি ৩৫-৪০ হাজার মোথা প্রয়োজন । লাইন থেকে লাইন ও মোথা থেকে মোথা এর দূরত্ব যথাক্রমে ৭০ সে.মি. এবং ৩৫ সে.মি. ।
সার প্রয়োগ : জমি প্রস্তুত কালীন ঃ হেক্টর প্রতি ইউরিয়া ৫০ কেজি, টিএসপি ৭০ কেজি, ও এমপি ৩০ কেজি । ঘাস লাগানোর ১ মাস পর হেক্টর প্রতি ৫০ কেজি ইউরিয়া । প্রতি কাটিং এর পর হেক্টর প্রতি ৫০ কেজি ইউরিয়া প্রয়োগ করতে হয় ।
সেচ : খরা মৌসুমে ১৫-২০ দিন পর পর সেচ দিতে হয় ।
ঘাস কাটার সময় : গ্রীষ্মকাল : ৩০-৩৫ দিন পর পর শীতকাল : ৩৫-৪৫ দিন পর পর (সেচ সুবিধা সাপেক্ষে) ।
কাটিংসংখ্যা/বছর : ১ম বছর : ৬-৮ বার এবং পরবর্তী বছরগুলোতে ৮-১০ বার ।
ঘাস উৎপাদন (টন/হেক্টর) : ৭০-৯০ টন ।
প্রতি কেজি কাঁচা ঘাসের পুষ্টিমান: শুষ্ক পদার্থ ২৫৫ গ্রাম, জৈব পদার্থ ২২৮ গ্রাম, প্রোটিন ১৯ গ্রাম ও বিপাকীয় শক্তি ২.৪৭ মেগাজুল ।