বাসস্থানের জন্য জায়গা নির্বাচনের ক্ষেত্রে নিম্ন লিখিত বিষয়গুলো খেয়াল রাখতে হবে:

প্রচুর আলো বাতাস যুক্ত উঁচু স্থান গাভীর বাসস্থানের জন্য নির্বাচন করা উচিত ।
গাভীর ঘর স্যাঁতস্যাঁতে ও জলাভূমিতে স্থাপন করা মোটেই সমীচীন নয় ।
পানি ও বিদ্যুৎ সরবরাহের সুষ্ঠু ব্যবস্থা যুক্ত স্থানে গাভীর বাসস্থান নির্মাণ করতে হবে।
পানি, মলমূত্র ও আবর্জনা ইত্যাদি নিষ্কাশনের সুব্যবস্থা থাকতে হবে ।
বাড়ির পাশে ঘাস উৎপাদনের জন্য উর্বর জমি থাকা ভাল এবং জমির পরিমাণ ফিডমাস্টার এর ঘাসের পরিকল্পনা থেকে নির্ণয় করা যায় ।
বাসস্থান পাকা হতে হবে। এতে রোগবালাই কম হবে এবং ঘর পরিষ্কার করা সহজ হবে। ঘরের মেঝে খসখসে হতে হবে এবং ড্রেনের দিকে ক্রমশ ঢালু হতে হবে যেন পানি জমে না থাকে।
ঘর সম্প্রসারণের সুযোগ থাকতে হবে, যাতে প্রয়োজন মাফিক সম্প্রসারণ করা যায় ।
গাভীর খাবার ও থাকার জায়গা অপেক্ষাকৃত ঢালু হওয়া উচিত, যাতে পানি জমে কাঁদা না হতে পারে ।
প্রাণির বাসস্থান প্রধানত দুই ধরণের হয়ে থাকে। যথা: ১। উন্মুক্ত/উদাম ঘর এবং বাঁধা ঘর। বাঁধা ঘর আবার দুই ধরণের হয়ে থাকে। যথা: ১। এক সারি বিশিষ্ট বাঁধা ঘর এবং দুই সারি বিশিষ্ট বাঁধা ঘর। দুই সারি বিশিষ্ট বাঁধাঘর আবার দুই ধরণের হয়ে থাকে। যথা: ১। ভিতর মুখি ঘর/মুখোমুখি ঘর এবং ২। বাহির মুখি ঘর।

উন্মুক্ত বা উদাম ঘর:
উন্মুক্ত বা উদাম ঘরে পালিত গাভী ও বাছুরের জন্য প্রয়োজনীয় জায়গা


বাঁধা ঘর:
বর্তমানে লাভ জনক ভাবে গরু পালনের জন্য বাঁধা ঘরই উত্তম। চার থেকে পাঁচটি গাভীর জন্য একসারি বিশিষ্ট একচালা বাঁধাঘর প্রয়োজন। কিন্তু প্রাণি সংখ্যা দশটির বেশি হলে দুই সারি বিশিষ্ট দোচালা বিশিষ্ট বাঁধাঘর তৈরি করতে হবে। এক্ষেত্রে নিম্নলিখিত পদ্ধতিতে দোচালা বিশিষ্ট ঘর তৈরি করতে হবে।



এছাড়া আদর্শ দুগ্ধ খামার তৈরি করার জন্য নিম্ন লিখিত ঘরের ব্যবস্থা করলে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে গাভী পালন করা যায়। ১০০ টি দুগ্ধবর্তী গাভির পরিকল্পনার জন্য নিম্ন লিখিত ভাবে ঘর তৈরি করা যায় ।