গোলকৃমি রোগ/ নেমাটোডিয়াসিস (Nematodiasis)

রোগটি কি ?
Nematodes বা গোলকৃমি দ্বারা সৃষ্ট রোগকে Nematodiasis বা গোলকৃমি রোগ বলে । বিভিন্ন গোলকৃমি পোষকের বিভিন্ন তন্ত্র ও অঙ্গকে আক্রান্ত করে প্রধানত ৪ প্রকৃতির রোগ সৃষ্টি করে যথাঃ (ক) আন্ত্রিক গোলকৃমি রোগ , (খ) ফুসফুসের গোলকৃমি রোগ, (গ) চোখের গোলকৃমি রোগ, (ঘ) ত্বকের গোলকৃমি রোগ ।
রোগের কারণ :
বিভিন্ন ধরনের গোলকৃমি শরীরের বিভিন্ন অন্ত্রে বা অঙ্গে বিভিন্ন ধরনের রোগ সৃষ্টি করে ।
রোগের লক্ষণ :
স্থানভেদে গোলকৃমির আক্রমন অনুযায়ী বিভিন্ন রকম রোগের লক্ষণ প্রকাশ পায় ।
১/ আন্ত্রিক গোলকৃমি দ্বারা আক্রান্ত প্রাণির আন্ত্রিক প্রদাহ, বদহজম, খাদ্য শোষন ব্যহত হয় । ফলে ডায়রিয়া ,রক্তশূন্যতা, ইডিমা প্রভৃতি লক্ষণ প্রকাশ পায় ।
২/ ফুসফুসের গোলকৃমি দ্বারা আক্রান্ত হলে শ্বাসকষ্ট , হাঁপানি, কাশি, অতিদ্রুত শ্বাসপ্রস্বাস, লালাক্ষরণ, ক্ষুদামন্দা, গাভীর কাশি, বাছুরের ক্ষেত্রে সায়ানোসিস হয় ।
৩/ চোখে গোলকৃমি দ্বারা আক্রান্ত হলে চোখে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়, অশ্রুপাত, অক্ষিঝিল্লি প্রদাহ, আলোর প্রতি সংবেদনশীলতা, ঘোলাটে দৃষ্টি, কর্ণিয়ার অস্বচ্ছতা দেখা দেয় ।
৪/ ত্বকের গোলকৃমি দ্বারা আক্রান্ত প্রাণির ত্বকে প্রদাহ, ক্ষত প্রভৃতি লক্ষণ প্রকাশ পায় ।
চিকিৎসা :
চিকিৎসকের পরামর্শক্রমে যে কোন ব্রড স্পেক্ট্রাম কৃমিনাশক ঔষুদ খাওয়ালে রোগটি ভাল হয়ে যায় ।
প্রতিরোধ :
১/ যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হয় ।
২/ প্রাণির আবাসস্থল পরিষ্কার ও পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে ।
৩/ নিয়মিত কৃমিনাশক ঔষধ প্রয়োগ করতে হবে ।