গরু মোটাতাজাকরণ

পটভূমি
বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষের প্রিয় খাদ্য গরুর মাংস । প্রতি বছরে ৬০০-১০০০ মে. টন গরুর মাংস উৎপাদন হয় । এর পুরোটাই উৎস গ্রামীণ উৎপাদন ব্যাবস্থা । বাংলাদেশে গরুর মাংস উৎপাদনের কোন বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি খামারি পর্যায়ে নেই । উন্নত বিশ্বের দেশ গুলোতে গরুর মাংস উৎপাদনের নির্দিষ্ট জাত আছে এবং বাছুরগুলো ১৮ থেকে ২৪ মাস পালন করে মাংসের জন্য বাজার জাত করা হয় । উচ্চ মূল্য সম্পন্ন ভিল (veal) উৎপাদনের জন্য অনেক সময় ৯ মাসেও গরুগুলো জবাই করে বাজার জাত করা হয় । এ ধরনের মাংস উৎপাদন পদ্ধতি বাংলাদেশে সম্পূর্ণভাবে অনুপস্থিত এবং মাংস উৎপাদনের জন্য গরুর জাত ও পাওয়া যায় না । বাংলাদেশে বর্তমানে পশু উৎপাদন ব্যবস্থাকে বিবেচনায় রেখে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি ব্যবহারে কি ভাবে লাভজনক ভাবে মাংস উৎপাদন করা যায় সে লক্ষ্যকেই সামনে রেখে গরু মোটাতাজাকরন প্যাকেজ প্রযুক্তি উদ্ভাবিত হয়েছে । ষাঁড় ও বলদ বা পুন:উৎপাদন ক্ষমতাহীন গাভীগুলোই এ প্রক্রিয়াতে ব্যবহার হয়ে থাকে । খাদ্যাভাবে দেশী গবাদি পশুগুলোর মাংস বা দুধ উৎপাদন আশানুরূপ নয় । ষাঁড় ও বলদগুলো কর্ষণ বা গাড়ি টানা শক্তি উৎপাদনে ব্যবহৃত হয় এবং খাদ্যাভাবে দুর্বল থাকে । ফলে মাংস উৎপাদন আশানুরূপ হয় না । এরূপ ষাড় এবং বলদগুলোকে যখন পুষ্টিকর খাদ্য সরবরাহ করা হয় তখন এদের অতীতের উৎপাদন ক্ষমতা খুব কম সময়ে পুষিয়ে আনতে চায় । বিষয়টি প্রায় সব প্রকার জীবের জন্যই সত্য বলে বিবেচিত । অর্থাৎ কোন জীবকে যখন কিছুদিন অপুষ্টিতে রেখে পুষ্টিপূর্ণ খাদ্য সরবরাহ করা হয় তখন উক্ত জীব তার পূর্বের অপুষ্টি জনিত হ্রাসকৃত বৃদ্ধি পুষিয়ে নেয় । জীবের এ ধরনের বৃদ্ধিকে Compensatory Growth বলা হয় । অপুষ্ট এবং দূর্বল গরুগুলো উন্নত পুষ্টি ও খাদ্যে স্বল্প সময়ে যে শরীর বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হয় তা লাভ জনক মাংস উৎপাদন পদ্ধতি হিসাবে বি এল আর আই এর গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে । এর ভিত্তিতে গরু মোটাতাজা করণ প্যাকেজ প্রযুক্তি উদ্ভাবিত হয় ।
যে সমস্ত অঞ্চলে ব্যবহার যোগ্যঃ দেশের প্রায় সমস্ত অঞ্চল ।
প্রযুক্তির মূল বৈশিষ্ট্য
“কমপেনসেটরি গ্রোথ” ব্যবহারে দেশী অপুষ্ট গরু হতে লাভজনক ভাবে মাংস উৎপাদন ।
প্যাকেজ প্রযুক্তির বর্ণনা
গরু মোটাতাজাকরন প্যাকেজ (৪) পর্ব বিশিষ্ট একটি উৎপাদন প্রযুক্তি । পর্বগুলো হচ্ছে-
১. গরু নির্বাচন
২. কৃমিমুক্তকরণ
৩. পুষ্টি ও খাদ্যব্যবস্থাপনা
৪. বাজারজাতকরণ ।
১/ গরুর বয়স ও নির্বাচনের বৈশিষ্ট্য
মোটাতাজাকরণ প্রক্রিয়ায় পশুর বয়স একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ।এ প্রক্রিয়ায় সাধারণত ২ বছর হতে ৫ বছরের গরু নির্বাচন করা যেতে পারে । দৈহিক গঠন বয়সের তুলনায় অধিক গুরুত্বপূর্ণ । বাংলাদেশে প্রাপ্ত গরুগুলো অঞ্চলভেদে গঠন আকৃতিতে এবং উৎপাদন ক্ষমতায় ভিন্ন । বিভিন্ন প্রকার গরুর একই মাত্রায় এবং খাদ্য পদ্ধতিতে দৈহিক ওজন বৃদ্ধির মাত্রা ভিন্নতর । এ জন্য সব প্রকার গরুকে উন্নত পুষ্টি এবং খাদ্য পদ্ধতি ব্যবহার করেও লাভজনক হারে দৈহিক ওজন বৃদ্ধি হয় না । এজন্য নিম্নলিখিত বিষয়গুলো ব্যবহার করে মোটাতাজাকরণের জন্য গরু নির্বাচন করা জরুরী ,
(ক) দৈহিক আকার বর্গরূপ হবে,
(খ) গায়ের চামড়া ঢিলা , শরীরের হাড়গুলো আনুপাতিকহারে মোটা, মাথাটা চওড়া, ঘাড় চওড়া এবং খাটো,
(গ) পা গুলো খাটো এবং সোজাসুজিভাবে শরীরের সাথে যুক্ত,
(ঘ) পিছনের অংশ ও পিঠ চওড়া এবং লোম খাটো ও মিলানো ,
(ঙ) গরু অপুষ্ট বা দূর্বল কিন্তু রোগা নয় ।
২/ কৃমিমুক্তকরণ
পশুর খাদ্যনালীতে ক্ষতিকর পরজীবী বাস করে । এরা গৃহীত খাদ্যের উৎকৃষ্ট অংশ খেয়ে জীবন ধারণ ও বংশবৃদ্ধি করে । এদের কারনে পশু ঠিকমত পুষ্টি না পেয়ে দিন দিন রুগ্ন হয়ে যায় , এবং এক সময় উৎপাদন ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে । গরুর খাদ্যনালীতে পরজীবী সনাক্ত করে কৃমির ঔষধ ব্যবহার করা ভাল । এজন্য নিকটস্থ একজন পশু চিকিৎসকের সাহায্য গ্রহণ করা উচিত । পশুর ওজনের ভিত্তিতে কৃমির ঔষধ ব্যবহার বাঞ্চনীয় । গরু নির্বাচন পূর্বক সংগ্রহের পর পরই পালের সব গরুকে এক সাথে কৃমিমুক্ত করা উচিত । পশু ডাক্তারের নির্দেশ মতে কৃমির ঔষধ ব্যবহার করতে হবে ।
৩/ পুষ্টি ও খাদ্য ব্যবস্থাপনা
গরু মোটাতাজাকরণে মোট খরচের শতকরা ৭০-৮০ ভাগই খাদ্য এবং পুষ্টির সাথে জড়িত । খাদ্য খরচ হ্রাস করা না হলে গরু মোটাতাজাকরণকে লাভজনক ব্যবসা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা দুস্কর । অনেক খামারিই খাদ্যের বিষয়টি নিয়ে বিপাকে পড়েন । কারণ , বই-পুস্তকে খাদ্যের নাম বা পুষ্টিমান দেয়া থাকলেও হাতের নাগালের মধ্যে পাওয়া যায় না বা পাওয়া গেলেও উচ্চ মূল্যে ক্রয় করতে হয় । কম খাদ্য খরচে প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহের জন্য নিচের বিষয় গুলো অনুসরণীয় :
(ক) স্বল্প মূল্যে সহজপ্রাপ্য খাদ্য ব্যবহারে রষদ তৈরি,
(খ) প্রাপ্ত খাদ্যগুলো প্রয়োজনমত প্রক্রিয়াজাত ,
(গ) উৎপাদন মৌসুমে খাদ্য সংগ্রহের পর মজুত,
(ঘ) পশুর প্রয়োজনের ভিত্তিতে দৈনিক খাদ্য তালিকা প্রস্তুত ,
(ঙ) খাদ্য সরবরাহ পদ্ধতি নির্বাচন ,
(চ) খাদ্যজনিত রোগ দমনের ব্যবস্থা ।
গরু মোটাতাজাকরণে দু’ধরনের খাদ্যের সমন্বয়ে রষদ তৈরি করা হয় ।
(ক) আঁশ জাতীয়,
(খ) দানাদার ।
(ক) আঁশ জাতীয়
আমাদের দেশে আঁশ জাতীয় খাদ্যের মধ্যে প্রায় ৭০.০ শতাংশই খড় । ঋতু ও অঞ্চল ভেদে দেশী এবং উন্নত সবুজ ঘাসও পাওয়া যায় । মোটাতাজাকরণে দু’ধরনের আঁশ জাতীয় খাদ্য ভিন্ন ভিন্ন বা এক সাথেও ব্যবহার হতে পারে । তবে উভয় প্রকার খাদ্যই প্রক্রিয়াজাত করা প্রয়োজন । ধানের খড় মোটাতাজাকরণে ব্যবহারের জন্য ইউ এম এস প্রযুক্তি ইতিমধ্যেই উদ্ভাবিত হয়েছে । উক্ত খাদ্য প্রযুক্তিটি প্রাথমিকভাবে গরু মোটাতাজাকরণে ব্যবহারের জন্য উদ্ভাবিত হয় । কিন্তু পরববর্তী গবেষণা কার্যক্রমে দেখা যায় যে , খড় ভিত্তিক উক্ত খাদ্য প্রযুক্তিটি সকল বয়সের ও উৎপাদন পদ্ধতির জন্য ব্যবহার হতে পারে । প্রযুক্তিটি বুকলেট আকারে ইতিমধ্যেই প্রকাশিত হয়েছে এবং বি এল আর আই হতে সংগ্রহ করা যেতে পারে । বর্ষা মৌসুমে তাজা ও ভিজা খড় ইউরিয়া মিশিয়ে সংরক্ষণের পর গরু মোটাতাজাকরণে ব্যবহার করা যায় । একত্রে উক্ত প্রযুক্তির লিখিত বুকলেটে খাদ্য পদ্ধতি অনুসরণ করা বাঞ্চনীয় । সংরক্ষিত খড়ের সাথে শতকরা ১০ ভাগ পর্যন্ত চিটাগুড় ব্যবহার করলে মোটাতাজাকরণে আরও সুফল পাওয়া যেতে পারে । এছাড়া দেশীয় সবুজ ঘাস বা উৎপাদিত ফডার মোটাতাজাকরণে ব্যবহার করা যায় ।দানা সংগ্রহের পর তাজা ও সবুজ ভূট্রা গাছের উপরের ৩/৪ অংশ টুকরো করে সরাসরি খাওয়ানো যায় । অধিক পরিমাণে পাওয়া গেলে সবুজ ঘাস সংরক্ষণ প্রযুক্তি (ইতি মধ্যেই উদ্ভাবিত হয়েছে ) ব্যবহার করে সাইলেজ করে মোটাতাজাকরণে ব্যবহার করা যায় । উল্লেখিত আঁশ জাতীয় খাদ্যগুলো মোটাতাজাকরণে জন্য সংগৃহিত পশুকে যথেষ্ঠ পরিমাণে খাওয়াতে হবে । আমাদের দেশে প্রাপ্ত প্রায় সব ধরনের সবুজ ঘাসে সহজপাচ্য শক্তির উৎস আবহাওয়াগত কারণে শীত প্রধান দেশে সবুজ ঘাসের তুলনায় মোটামুটিভাবে কম থাকে । এজন্য গবেষণায় দেখা যায় , প্রাপ্ত সবুজ ঘাস খাওয়ানোর সময় শতকরা ১০ ভাগ চিটাগুড় সরাসরি মিশিয়ে দিলে ষাঁড় বা বলদের দৈহিক ওজন ২০-২৫ শতাংশ বেশি বৃদ্ধি পায় । এর মুলে বৈজ্ঞানিক কারণ বিদ্যমান । মূল কথা হলো গরু মোটাতাজাকরণে আমরা যদি সবুজ ঘাস ব্যবহার করি তাহলে খাওয়ানোর সময় শতকরা ১০ ভাগ চিটাগুড় ঘাসের সাথে সরাসরি মিশিয়ে খাওয়াতে পারি । খামারী ভাইয়েরা ইউএমএস এবং চিটাগুড় মিশ্রিত সবুজ ঘাস ভিন্ন ভাবে খাওয়াতে পারেন । অথবা দুটো খাদ্য মিশ্রণ করেও খাওয়াতে পারেন । সারণি ১ : আঁশ জাতীয় খাদ্য প্রস্তুতের জন্য


খ) দানাদার মিশ্রণ
আমাদের দেশে প্রাপ্ত দানাদার ব্যবহারে বিভিন্ন মিশ্রণ তৈরি করে আঁশ জাতীয় খাদ্যের অতিরিক্ত হিসেবে নির্দিষ্ট মাত্রায় ব্যবহার করতে হবে ।
দানাদার মিশ্রণ তৈরির কিছু ফরমূলা সারণি ২এ দেয়া হলো-
সারণি ২ : গরু মোটাতাজাকরণে ব্যবহার যোগ্য কিছু দানাদার মিশ্রণ


সারণি ২ এ গরু মোটাতাজাকরণে ব্যবহারের জন্য কয়েকটি খাদ্য ফরমুলা প্রদত্ত হলো-
(ক) খড়ভিত্তিক খাদ্য ফরমূলা
১. ইউ.এম.এস. (ইউরিয়া মোলাসেস স্ট্র) যথেষ্ট পরিমান+ দানাদার মিশ্রণ ( দৈহিক ওজনের শতকরা .০৮-১.০ ভাগ)
২. ইউরিয়া দিয়ে সংরক্ষিত খড় + মোট খড়ের শতকরা ৩.০-৪.০ ভাগ চিটাগুড় + দানাদার মিশ্রণ ( দৈহিক ওজনের শতকরা ০.৮-১.০ ভাগ )
(খ) সবুজ ঘাসভিত্তিক খাদ্য ফরমূলা )
১. সবুজ ঘাস + দানাদার মিশ্রণ ( দৈহিক ওজনের শতকরা ০.০-১.০ ভাগ )
২. সবুজ ঘাস + মোট ঘাসের শতকরা ২.৫-৩.০ ভাগ চিটাগুড় + দানাদার মিশ্রণ ( দৈহিক ওজনের শতকরা ০.৮-১.০ ভাগ)
৩. সবুজ ঘাস : ইউএমএস +দানাদার মিশ্রণ ( দৈহিক ওজনের শতকরা ০.৮-১.০ ভাগ)
স্বল্প মূল্যে খাদ্যব্যবস্থাপনার জন্য নিম্নলিখিত বিষয়গুলো স্মরণে রাখা প্রয়োজন :
(ক) গরু সংগ্রহের পর হতে কমপক্ষে ৪৫-৬০ দিন গরুকে অধিক উন্নত পুষ্টিকর খাদ্য সরবরাহ করতে হবে । এতে গরু মোটাতাজাকরণের জন্য প্রয়োজনীয় মোট সময় হ্রাস পাবে । শেষের দিনগুলোতে খাদ্যের পরিমান এবং গুণগত বৈশিষ্ট হ্রাস করে প্রথম দিনগুলোর খাদ্য খরচ পুষিয়ে নেয়া যেতে পারে ।
(খ) গরুর গায়ে অধিক পরিমাণে চর্বি না করা । এতে গরু দেখতে সুন্দর লাগলেও পুষ্টির অপচয় ও খরচ বৃদ্ধি পায় । তবে বাজারের চাহিদা মতে যদি অধিক চর্বিযুক্ত গরু উৎপাদন করা প্রয়োজন হয় সে ক্ষেত্রে লাভের ভিত্তিতে গরু চর্বিযুক্ত করা যেতে পারে ।
(গ) খাদ্যের অপচয় বিশেষ করে আঁশ জাতীয় খাদ্যের অপচয় রোধ করা প্রয়োজন । এ জন্য সরবরাহকৃত খাদ্যগুলো কেটে কেটে টুকরো করে দিলে অপচয় হ্রাস করা সম্ভব ।
(ঘ) আমাদের দেশে শীতের সময় গরু মোটাতাজাকরণের জন্য খাদ্য চাহিদা বৃদ্ধি পায় । শীতের সময়ে অবশ্যই গরুকে অতিরিক্ত শীত এবং ঠান্ডা বাতাস হতে রক্ষা করতে হবে । অন্যথায় এ সময়ে গরু দুর্বল ও শুকিয়ে যেতে পারে ।
৪। বাজারজাতকরণ
গরু মোটাতাজাকরণ প্যাকেজ প্রযুক্তি ৯০ থেকে ১২০ দিনের জন্য উদ্ভাবন করা হয়েছে । কিন্তু খামারিবৃন্দ শুধুমাত্র ঈদের বাজারের উচ্চমূল্যের দিকে দৃষ্টি রেখে গরু ক্রয় করে মোটাতাজাকরণ করে থাকেন । অবশ্য ঈদের চড়া মূল্যে খামারিবৃন্দ বেশি লাভবান হয়ে থাকেন । ঈদ-উল-আযহায় জীবন্ত গরু বিক্রি করা হয় । অন্যান্য সময়ে গরু জবাই এবং মাংসের গ্রেডিং করে বাজারজাত করা যেতে পারে । কিন্ত এখনও মাংস বাজারজাতকরণের প্রযুক্তিগুলোর ব্যাবহার আমাদের দেশে শুরু হয় নি । উক্ত প্রযুক্তিগুলো ব্যবহার করে মোটাতাজাকরণ প্যাকেজ প্রযুক্তি আরও সমৃদ্ধ হতে পারে বলে আমরা বিশ্বাস করি ।
জীবন্ত গরু বাজারজাতকরণে বাজারের চাহিদা একটি বড় বিষয় । এজন্য মোটাতাজাকরণ প্রক্রিয়ায় গরু সংগ্রহের সময়ে গরুর মোট ওজন, রং এবং আকার- আকৃতি গুরুত্বপূর্ণ । বড় গরু ক্রয়ের ক্ষমতা খুব কম সংখ্যক ক্রেতার থাকে । এজন্য মাঝারি আকারের কালো বা লাল রং এর গরু নির্বাচন প্রয়োজন যা বাজারজাত করা সহজ হয় এবং মূল্যও বেশি পাওয়া যায় ।